গঠনতন্ত্র

বৃহত্তর বরিশাল সোসাইটি জাপান

প্রথম অধ্যায় (নাম ও কার্যালয়)

১। এই সোসাইটি “বৃহত্তর বরিশাল সোসাইটি জাপান” Greater Barisal society in Japanনামে পরিচালিত হইবে।
২। “বৃহত্তর বরিশাল সোসাইটি জাপান” এর কার্যালয় জাপানে অবস্থিত হইবে।

দ্বিতীয় অধ্যায় (আদর্শ ও উদ্দেশ্য)

১। এই সোসাইটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে এবং জাপানের প্রচলিত আইনে জাপান সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত সমাজকল্যাণ সংগঠন হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করিবে।
২। জাপানে অবস্থিত বাংলাদেশী দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের শিশুদের জন্য শিল্প সাহিত্যের উন্নয়ন ও শিক্ষা সংস্কৃতি বিকাশের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করিবে।
৩। বাংলাদেশে বা জাপানের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ/দুঃস্থ মানুষের সেবার জন্য কাজ করিবে।
৪। এই সোসাইটি জাপানে বসবাসরত বিভিন্ন পেশার মানুষের মধ্যে সামাজিক বন্ধন, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের ভাব গড়িয়া তোলার চেষ্টা করিবে ।
৫। এই সোসাইটি সদস্যদের আপদে বিপদে সমবেদনা ও সহানুভূতি জ্ঞাপন করিবে এবং প্রয়োজনবোধে আর্থিক ও আইনানুগ সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদানের চেষ্টা করিবে ।
৬। এই সোসাইটি সমগ্র বাংলাদেশের বিশেষ করে বৃহত্তর বরিশালের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করিবে।
৭। এই সোসাইটি বৃহত্তর বরিশালের গরীব ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের বিনামূল্যে শিক্ষার উপকরণ
বিতরণ ও বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করিবে।
৮। এই সোসাইটি, ঈদ পুনর্মিলনী, গুনীজন সংবর্ধনা, সেমিনার, আলোচনা সভা, গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস উদযাপন ইত্যাদি আয়োজন করিবে।

তৃতীয় অধ্যায়

১। সদস্যপদ:জাপানে বসবাসরত বৃহত্তর বরিশালের যে কোন ব্যাক্তি, যাহার বয়স আঠার বৎসর পূর্ণ হইয়াছে,বৃহত্তর বরিশালের সোসাইটির গঠনতন্ত্র ও কার্যক্রমের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে সাধারন সদস্যপদ লাভ করিতে পারিবে।
২। সদস্য পদ বাতিলঃ কোন সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কিংবা আর্থিক ক্ষতির সাথে সংশ্লিষ্ট বা সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোন কাজ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হবে।

চতুর্থ অধ্যায়

১। চাঁদা সংক্রান্ত:সোসাইটির সাধারন সদস্য হইবার জন্য ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদের জন্য প্রতি মাসে ৫০০ ইয়েন / বছরে ৬000 হাজার ইয়েন চাঁদা প্রদান করিতে হইবে। বৎসর প্রতি ইংরেজী বর্ষপঞ্জী অনুসারে নির্ধারিত হইবে )

পঞ্চম অধ্যায় (কার্যকরী পরিষদ)

১। কার্যকরী পরিষদ সোসাইটির সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী থাকিবে ।
২। এই সোসাইটির গঠনতন্ত্র ও নিয়মাবলীর যে কোন পরিবর্তন সংযোজন বা সংশোধন করিতে হইলে সাধারন পরিষদের সভা আহবান করিতে হইবে এবং উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন/সম্মতি লাগিবে।
৩। কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বৎসর হইবে। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে এই মেয়াদ তিন মাস পর্যন্ত বাড়ানো যাইতে পারে।
৪। কার্যকরী পরিষদের সভায় কমপক্ষে ৯জন সদস্য উপস্থিত থাকিলে সভার “কোরাম” হইবে।
৫। এই সোসাইটির কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক স্থিরকৃত এক বা একাধিক ব্যাংকে বৃহত্তর বরিশাল সোসাইটি জাপান নামে সঞ্চয়ী ও মেয়াদী হিসাব খুলিবে এবং সমিতির যাবতীয় অর্থ ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে। সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের মধ্যে যে কোন দুইজনের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হইতে টাকা উত্তোলন করিতে পারিবে।

৬ষ্ঠ অধ্যায় (কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের ক্ষমতা ও দায়িত্বাবলী)

১। সভাপতিঃ তিনি সংগঠনের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হবেন । তিনি সকল সভার সভাপতিত্ব করবেন এবং সভা পরিচালনার সম্পূর্ণ ক্ষমতা তার উপর ন্যস্ত থাকবে । এছাড়া তিনি সাধারণ পরিষদের সভারও সভাপতিত্ব করবেন । বিশেষ জরুরি অবস্থায়, সাধারণ সম্পাদক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সভা আহ্বান না করলে তিনি তা আহ্বান করতে পারবেন। কার্যকরী পরিষদ সভায় কোন প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পড়িলে তিন কাষ্টিং ভোট প্রয়োগ করিবেন। সভাপতি জরুরী প্রয়োজনে কার্যকরী পরিষদের অনুমতি ব্যাতিরেকে ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) ইয়েন পর্যন্ত খরচের অনুমোদন দিতে পারিবেন। অবশ্যই তাহা পরবর্তী কার্যকরী পরিষদ সভায় অনুমোদনের জন্য পেশ করিতে হইবে।
২। সহ সভাপতিঃ সহ সভাপতি,সভাপতিকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করবেন, তাঁর অবর্তমানে তিনি সভাপতির স্থলাভিষিক্ত হয়ে তাঁর কাজ চালাতে পারবেন । সহ সভাপতি, সভাপতিকে সহযোগিতা করবেন।দুজনেরই অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন ।
৩। সাধারণ সম্পাদকঃ সাধারন সম্পাদক সমিতির নির্বাহী প্রধান হিসাবে কাজ করিবেন। তিনি সংগঠনের আদর্শ ও উদেশ্য বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিবেন।
৪। সাধারন সম্পাদক সভাপতির সঙ্গে যৌথ স্বাক্ষরে বার্ষিক সাধারন সভা, বিশেষ সাধারন সভা, সোসাইটির অনুষ্ঠানাদি আহবান করিবেন। জরুরী প্রয়োজনে সাধারন সম্পাদক কার্যকরী পরিষদের পূর্বানুমোদন ব্যাতীত ৩০০০/- (তিন হাজার ইয়েন) পর্যন্ত খরচ করিতে পারিবেন। অবশ্য এই ধরনের খরচ কার্যকরী পরিষদের পরবর্তী সভায় অবগতি ও অনুমোদনের জন্য পেশ করিবেন।
৫। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঃ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
(ক্রমানুসারে) তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতি বা অবর্তমানে যুগ্ম সাধাররণ সম্পাদক তাঁর সকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করবেন ।
৬। সাংগঠনিক সম্পাদকঃ সংগঠনের যাবতীয় প্রোগ্রাম অ্যারেন্জমেন্টে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা।
৭। সহঃ সাংগঠনিক সম্পাদকঃ সাংগঠনিক সম্পাদককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন এবং তাঁর অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন ।
৮। কোষাধ্যক্ষ/ অর্থ সম্পাদকঃ তিনি সংগঠনের তহবিল রক্ষণাবেক্ষণ করবেন এবং বার্ষিক হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করবেন । কার্যকরী পরিষদ ও সংগঠনের বার্ষিকসভায় নিরীক্ষ বার্ষিক আয় – ব্যয়ের হিসাব পেশ করবেন ।
৯। সহঃ কোষাধ্যক্ষ/ অর্থ সম্পাদকঃ অর্থ সম্পাদককে সহযোগিতা করবেন এবং তাঁর অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন ।
১০। দপ্তর সম্পাদকঃ তিনি সংগঠন সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র, সিলমোহর বহি, প্যাডসহ অন্যান্য দাপ্তরিক উপকরণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করিবেন । সংগঠনের নোটিশপত্র, চিঠিপত্র, অাবেদনপত্র সঠিক সময়ের মধ্যে সকল জায়গায় প্রেরণের ব্যবস্থা করবেন । এবং কার্যকরী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত অন্য যে কোন দায়িত্ব পালনেও বাধ্য থাকবেন ।
১১। প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদকঃ তিনি সভাপতি / সাধারন সম্পাদকের নির্দেশনানুযায়ী ও কমিটির সিধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের কার্যক্রম প্রচার ও প্রসারের জন্য বিভিন্ন বাক্তি, দাতা-গোষ্ঠী ও বিভিন্ন অনলাইন-অফলাইন প্রচার মাধমের করবেন। এছাড়া বার্ষিক প্রকাশনা/ সু্ভেন্যুর তৈরি / ম্যাগাজিন প্রকাশনা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও দায়িত্ব পালন করবেন।
১২। সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যাপারে সমুদয় বাবস্থা গ্রহণ করবেন ।
১৩। মহিলা বিষয়ক সম্পাদকঃ সোসাইটির মহিলাদের সংগঠিত করবেন এবং তাদের সম্পর্কে পরিষদকে অবহিত করবেন। এবং কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক মহিলা বিষয়ক গৃহীত যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত থাকবে।
১৪। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ  তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকঃ কার্যকরী সংসদের অনুমতিক্রমে সংগঠনের তথ্য ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি, এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠানাদি ও অন্যান্য সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা
১৫। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকঃ  কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতিক্রমে সংগঠনের প্র্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব